ইউটিউব এর সম্পূর্ণ গাইডলাইন স্টেপ বাই স্টেপ


ইউটিউব  এর সম্পূর্ণ গাইডলাইন স্টেপ বাই স্টেপ


প্রথমেই একটি সুন্দর নাম নির্বাচন করুন নামটাই অনেক কিছু। তাই প্রথমেই এমন একটি নাম চিন্তা করুন যা এর আগে কেউ ব্যবহার করেনি। নামটি আপনি যে কোন বিষয়ের উপর নিতে পারেন, সেটা হতে পারে রান্না বিষয়ক, গেমস নিয়ে, স্বাস্থ্য নিয়ে বা যে কোন বিষয়। কিন্তু সাবধান একবার যদি আপনি আপনার চ্যানেলের নাম ঠিক করে ফেলেন তাহলে তা আর কখনো পরিবর্তন করতে পারবেন না। দরকার হলে অনেক সময় নিয়ে চিন্তা করুন, ভাবুন তারপর ঠিক করুন আপনার ইউটিউব চ্যানেলের নাম। তবে নামটি অবশ্যই এমন একটি নাম দিবেন যাতে আপনার চ্যানেলের নাম খুব সহজে মনে রাখা যায়। ভুল করেও কখনো সংখ্যা দিয়ে নাম ব্যবহার করবেন না। এই সাইটে গিয়ে আপনি চেক করে নিতে পারেন আপনি কোন নামটি দিবেন। সাইটটির ঠিকানা – http://socialblade.com/youtube/namegen   এই ঠিকানায় গিয়ে চেক করে নিতে পারেন আপনার নামটি ঠিক আছে কিনা?



একটি ইমেইল নিবার্চন করুন আপনার চ্যানেল এর জন্য   আমরা সবাই জানি ইউটিউবে একাউন্ট খুলতে একটি ইমেইল লাগবে। আর এজন্য অবশ্যই আপনাকে জিমেইল ব্যবহার করতে হবে। তাই প্রথমেই একটি নতুন জিমেইল একাউন্ট খুলে নিতে হবে। একাউন্টটি অবশ্যই ভেরিভাই করে নিতে হবে। আর মনে রাখবেন ২ ধাপ এর ভেরিফিকেশন দিয়ে রাখবেন আপনার একাউন্টে। তাহলে আপনি ছাড়া আর কেউ এই একাউন্টে প্রবেশ করতে পারবে না।
কপিরাইট এবং ফেয়ার ইউজেস

কপিরাইট এড়িয়ে চলুন আপনি যখন আপনার ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে ফেলেছেন তখন আপনি ইউটিউব এর পার্টনার। আর পার্টনার থাকা অবস্থায় এমন কোন ভিডিও আপলোড করবেন না, যাতে কপিরাইট থাকে। যেমন অন্যের গান এর মিউজিক নকল করে আপনার ভিডিওতে ব্যবহার, অন্য কোন টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান। আপনি আপনার ভিডিওতে ইউটিউবের নিজস্ব কিছু গানের ট্রাক থেকে গান নির্বাচন করে ব্যবহার করতে পারেন। কখনোই নকল করবেন না, কারণ ইউটিউব জানে আপনি কোথা থেকে কি ব্যবহার করেছন। সুতরাং সাবধান। এরপরও যদি আপনি এরকম কোন ভিডিও আপলোড করেন, তারা আপনাকে কয়েকবার সাবধান করে দিবে, আপনার কপিরাইট ভিডিও আপলোড এর সংখ্যা যদি বেশি হয় তাহলে আপনার একাউন্টটি তারা ব্যন করে দিবে।


কি কি প্রোগাম আর সফটওয়্যার ব্যবহার করবেন

ভিডিও এডিট করার জন্য অবশ্যই ভালো কোন সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হবে। ফ্রি তে অনেক ভিডিও এডিট করার সফটওয়্যার পাবেন,  তবে অবশ্যই যে সফটওয়্যার ব্যবহার করেন না কেন তা কিনে ব্যবহার করুন। আর ভিডিও এডিটিং করা অনেক সহজ একটি কাজ যদি আপনি অনেকটা ধৈর্য ধরে এই কাজটি শিখতে পারেন। 





এছাড়াও আরো যে যে এডিটিং সফটওয়্যার আছে সেগুলোও ট্রাই করতে পারেন। আপনি আপনার   মোবাইল কিংবা ভিডিও ক্যামেরা দিয়ে যা ভিডিও করেছেন, তা প্রথমে এডিট করে নিন, এরপর আপলোড করুন ইউটিউবে।


ইনট্রো নির্বাচন করুন


আপনি আপনার চ্যানেলের জন্য সুন্দর একটি ইনট্রো নির্বাচন করুন। মনে রাখবেন এই ইনট্রোর উপর নির্ভর করবে আপনার অনেক কিছু। আপনার হাতে অনেক সময় আছে, আস্তে ধীরে তৈরি করুন আপনার ইনট্রো। ইনট্রোর সময় বেঁধে দেয়া আছে ১০ সেকেন্ড। এই ১০ সেকেন্ডের মধ্যে আপনাকে আপনার চ্যানেলের একটি সুন্দর ইনট্রো বানাতে হবে। আপনার চ্যানেলের একটি লোগো বানিয়ে নিন, এরপর গুগোল থেকে অনেক টেমপ্লেট পাবেন ইনট্রো বানানোর জন্য; একটি টেমপ্লেট নির্বাচন করে ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার দিয়ে লোগো সহ ১০ সেকেন্ড এর একটি ইনট্রো বানিয়ে ফেলুন। আপনি ভিডিও তৈরি করার যে কোর সফটওয়্যার দিয়ে এই ইনট্রো বানাতে পারেন, তবে মনে রাখবেন আপনার ইনট্রোটি যেন ভিডিও ফরমেট এর হয়। এরপর থেকে আপনি যে ভিডিও আপলোড করেন না কেন, সেটা শুরু হবার আগে এই ইনট্রোটি দেখা যাবে। ইনট্রো করার পর তা আপনি আপলোড করেবন আপনার চ্যানেলের ইন ভিডিও প্রোগ্রাম এর ভিতরে- ইন ভিডিও প্রোগ্রাম পাবেন আপনার চ্যানেলের ড্যাশবোর্ড এর চ্যানলে সেটিংস এর ভিতর। এখানে যাবার পর এরকম কয়েকটি ছবি দেখতে পাবেন, তারমধ্যে Add a branding intro এখানে আপনার তৈরি ইনট্রোটি আপ করবেন।



অডিও এডিটিং এর টিপস এন্ড ট্রিক্স

অডিও এডিটিং অনেক গুরত্বপূর্ণ আপনার ভিডিওটির জন্য। আর অডিও এডিটিং এর উপর নির্ভর করে ইউটিউব আপনার ভিডিওটি মনটানাইজেশন করতে দিবে কি দিবে না। আমি আপনাদেরকে কিছু টিপস বলে দিব সেগুলো যদি ঠিকমতো মেনে চলেন তাহলে আশা করি আপনি একটি ভালো রেজাল্ট পাবেন ইউটিউব এর কাছ থেকে।

ক. প্রথমেই নিশ্চিত হয়ে নিন যে আপনার তৈরি করা অডিও ফাইলে কোন ধরনের ব্যকগ্রাউন্ড নয়েজ নেই। ভয়েজ রেকর্ডিং এ অনেক সময় এসি বা ফ্যান এর শব্দ শোনা যায়, চেষ্টা করবেন এই জাতীয় নয়েজগুলো এড়িয়ে যেতে।
খ. একটি ভালো ভিডিও একটি খারাপ অডিও এর কারণে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই চেষ্টা করুন ভালো অডিও দিতে। দরকার হলে নিজেই অডিও বানিয়ে নিন। অন্যের অডিও কখনোই ব্যবহার করবেন না। অডিও বানানোর জন্য অনলাইনে অনেক সফটওয়্যার পাওয়া যায়; সেগুলো ব্যবহার করতে পারেন।
গ. আপনার অডিওটি আপনি নিজেই কয়েকবার শুনুন, আপনার কাছে ভালো লাগলে এরপর আপনার ভিডিওর সাথে যোগ করুন।

The best free audio editor :

  • Audacity
  • Ocenaudio
  • Free Audio Editor
  • Acoustica Basic Edition



চ্যানেলের সুন্দর একটি লোগো আর একটি কাভার ফটো বানান   আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইনে ভালো হন, তাহলে আপনার চ্যানেলের সুন্দর একটি লোগো আর একটি কাভার ফটো বানিয়ে ফেলুন। কাভার এবং লোগো বানানো জন্য ফটোশপ এবং ইলাস্ট্রেটর ব্যবহার করতে পারেন।






টাইটেল, বর্ণনা এবং ট্যাগ


টাইটেল  টাইটেল, বর্ণনা এবং ট্যাগ হচ্ছে একটি ভিডিওর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আপনার ভিডিও যত ভালোই হোক না কেন, এই তিনটি ছাড়া এর কোন মূল্য নেই। কয়েক হাজার ভিডিও এর মধ্য থেকে মানুষ আপনার ভিডিও তখনই দেখবে যখন আপনার ভিডিওতে এই তিনটির সমন্বয় থাকবে। শুরুতেই কিওয়ার্ড রিসার্চ করে আকর্ষণীয় টাইটেল তৈরি করুন। আর আপনার টাইটেল তৈরি করার জন্য কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে হবে। চলুন দেখি কি কি উপায়ে কিওয়ার্ড রিসার্চ করা যায়।
কিওয়ার্ড রিসার্চ

পদ্ধতি-১ ইউটিউবে সার্চ দিতে পারেন আপনার কাঙ্খিত ভিডিওর সাথে মিল রেখে। যেমন ধরুন আপনার ভিডিওটি যদি হয় মানি মেকিং নিয়ে তাহলে ইউটিউবে সার্চ দিন- যড়ি ঃড় সধশব সড়হবু ড়হষরহব। এবার দেখুন কি কি রেজাল্ট দেখায়, এখান থেকেই বেচে নিতে পারেন আপনার টাইটেল টি অথবা নিজেই এই সমস্ত টাইটেল থেকে আপনারটা বানিয়ে নিতে পারেন।
পদ্ধতি- ২ আর একটু নিশ্চিত হতে ব্যবহার https://adwords.google.com/KeywordPlanner এই লিংকে গিয়ে আপনার কাঙ্খিত কিওয়ার্ড লিখে করেতে পারেন নিচের লি্কংটি। সার্চ দিন।
পদ্ধতি- ৩ আপনি যে টাইটেল দিতে চাচ্ছেন তা ইউটিউবে লিখে সার্চ দিন, এবং দেখুন একদম প্রথমে কোনটি আছে। সেটার কাছাকাছি একটি টাইটেল তৈরি করতে পারেন। শুধু টাইটেল নয়, আপনি ভালো করে দেখে নিন সেই ভিডিওতে কি কি ট্যাগ ব্যবহার করা হয়েছে, আর বর্ণনাতে কি লেখা আছে। আপনি চাইলে সেগুলোও আপনার ভিডিওতে ব্যবহার করতে পারেন, তবে সেটা নিজের মতো করে বানিয়ে নিবেন।
খ. বর্ণনা  বর্ণনা এমনভাবে দিবেন যেন আপনার বর্ণনার ভেতর অবশ্যই টাইটেল এবং ট্যাগ এর উপস্থাপনা থাকে। বর্ণনা করার সময় অবশ্যই আপনার চ্যানেলের লিংক দিতে ভুলবেন না। আপনার বর্ণনার ভেতর আপনার চ্যানেলের লিংক প্রতিস্থাপন করুন। বর্ণনা যত বড় করবেন আপনার জন্য ততই ভালো। আপনার ভিডিও তে আরো যোগ করুন ফেসবুক ফ্যান পেজ, টুইটার একাউন্ট সহ আরো যে সমস্ত সোস্যাল নেটওর্য়াকিং সাইটে আপনি যুক্ত আছেন সেগুলো।
গ. ট্যাগ এবার আপনার ভিডিও অনেকটাই তৈরি পাবলিশ করার জন্য। শুধুমাত্র শেষ এই ধাপটি পুরণ করলেই কাজ শেষ। কমকওে হলেও ১০টি থেকে ২০ টি ট্যাগ করুন আপনার ভিডিওটির; এবং চেষ্টা করবেন ট্যাগগুলো যেন আপনার ভিডিও রিলেটেড হয়।

Tags
“bangla comedy,
bangla funny sms,
bangla comedy natok,
bangla natok comedy,
bangla funny video,
bangla comedy video,
bangla funny natok,
comedy natok,
bangla jokes,
bangladeshi funny video,
bengali jokes,
bangladeshi comedy natok,
jokes bangla,
bangla funny jokes,
funny video bangla,
bengali funny jokes,
jokes in bengali,
funny bengali jokes,
bangla joks,
funny bangla jokes, 
(tags are repeated in the bottom of the description)




ভিডিও তৈরি করুন

এতক্ষণতো আমার কিভাবে ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করবেন, আপলোড করার নিয়মগুলো জানলাম। এবার চলুন যে ভিডিওটি আপনি আপ করবেন তা তৈরি করি।
1.ক্যামেরা এবং লাইটিং আমরা অনেকেই ক্যামেরা এবং লাইটিং এর ব্যবহার সর্ম্পকে ভালোভাবে জানি না। ক্যামেরা এবং লাইটিং এর উপরে সল্প সময়ে একটি কোর্স করে নিতে পারি আমরা। এটি পরবর্তী জীবনে আপনার অনেক কাজে দিবে। ভালো একটি ভিডিও তৈরি করার পিছনে অনেক সাধনা করতে হয়। আর লাইটিং সমন্ধে যদি আপনার ভালো ধারণা থাকে তাহলে আপনি ভালো একটি ভিডিও বানাতে পারবেন। তাই ভালো একটি ভিডিও তৈরি করতে আপনাকে অবশ্যই এই বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে।
2. এনকোডিং  ভিডিওটি যখন বানাবেন তখন খেয়াল রাখবেন এর এনকোডিং এর দিকে। সঠিকভাবে এনকোডিং নির্বাচন না করলে আপনার ভিডিওটি ইউটিউবে লাইভ নাও হতে পারে। আর একটি ব্যপার এনকোডিং যদি ঠিকমতো করতে না পারেন, তাহলে আপনার ভিডিওর রেজুলেশন এতটাই কমে যাবে যার কারণে আপনার ভিডিও আপলোড করার অনুপোযোগী হয়ে যাবে।



আপনার চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার বাড়ান

প্রতিদিন সময় করে ইউটিউবের অন্য যে ভিডিওগুলো কয়েক লাখ ভিজিটর আছে সেগুলোতে টিউমেন্ট করুন। টিউমেন্ট টি অবশ্যই এমনভাবে করুন যাতে লেখা থাকবে আপনি তার চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করবেন তার বদলে সে আপনার চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করবে।  আপনি যে ভিডিওগুলো আপলোড করবেন, সেগুলোর বর্ণনাতে অবশ্যই আপনার অন্য ভিডিওর লিংক যোগ করবেন। এছাড়া আপনার ভিউয়ার কে সাবস্ক্রাইব করতে অনুরোধ করবেন। সম্ভব হলে মজাদার জোকস বলে আপনার ভিউয়ার কে সাবস্ক্রাইব করতে বলতে পারেন।  অনেকেই মনে করেন চ্যানেলে অনেকগুলো ভিডিও থাকলে অনেক বেশি সাবস্ক্রাইবার পাওয়া যায়। এটি একটি ভুল ধারনা। আপনি যদি কয়েক শো ভিডিও আপ করেন যেগুলো কোন কাজেরই না, তাহলে আপনি কোনদিনও সাবস্ক্রাইবার পাবেন না, বরং সাবস্ক্রাইবার হারাবেন। কারণ কেউই চায় না অন্যের ভিডিও দিয়ে তার ইফটিউব একাউন্ট ভরে থাক।   ভিডিও আপলোড করার জন্য নির্র্দিষ্ট একটি দিন বেচে নিন; এবং নির্দিষ্ট একটি সময়। কারণ আপনার যারা সাবস্ক্রাইবার তারা ওই দিনটি মাথায় রাখবে, এবং নির্দিষ্ট ওই সময়েই আপনার চ্যানেলে ঢুকবে আপনার ভিডিওটি দেখার জন্য। আপনি যখনই সিডিউল মেইনটেনন করে আপনার ভিডিও আপলোড করবেন, তখন আপনার ভিডিওটি ইফটিউব তার সার্চ রেজাল্টে এক নাম্বারে নিয়ে আসবে। তবে একটি জিনিষ মাথায় রাখবেন যাই আপলোড করেন না কেন, তা যেন সকলের উপকারে আসে। আপনার ভিডিও যখন কারো উপকারে আসবে, তখন আপনি আপনার ভিডিও থেকে উপকৃত হবেন। মানে আপনার ভিডিও থেকে তখন টাকা আসা শুরু হবে।  আর একটি কাজ করতে পারেন আপনার চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার বাড়ানোর জন্য। সেটা হলো অন্যান্য ইউটিউব চ্যানেল ক্রিয়েটরদের সাথে যোগাযোগ করে তাদের বলতে পারেন, যে আপনার   ভিডিওর মধ্যে আপনি তাদের চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার বক্স বসাবেন, বিনিময়ে তারা তাদের ভিডিওর মধ্যে আপনার চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার বক্স বসাবে। এতে দু পক্ষই লাভবান হবেন।

গোপন ফরমুলা

আপনাদের সাথে এখন একটি গোপন ফরমুলা নিয়ে কথা বলবো, যে ফরমুলা ব্যবহার করলে অতি সহজে আপনি আপনার চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার বাড়াতে পারেন। আমি নিজেই এই ফরমুলা ব্যবহার করি। ধরুন আপনার চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার ১৫০ জন। এখন আপনার চ্যানেলের ভিডিওর সাথে মিলে যায় এরকম আর একটি চ্যানেল খুজে বের করুন যার সাবস্ক্রাইবার ২৫০ থেকে ৩০০ জনের মত। তাকে একটি ম্যসেজ পাঠান যে আপনি একটি ভিডিও তৈরি করেছেন যাতে বলা আছে এই চ্যানেলটি কি কি কারণে অনেক ভালো। এবং এই চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করলে আপনি আরো ভালো ভালো ভিডিও পেতে পারেন। আপনি এখন চাচ্ছেন তার চ্যানেলে এবং আপনার চ্যানেলে এই ভিডিওটি আপলোড করতে। আপনি আপনার চ্যানেলে যখন এই ভিডিওটি আপলোড করবেন তখন লিংক হিসেবে ওই চ্যানেলের লিংক ব্যবহার করবেন, এবং ওই চ্যানেলের মালিক আপনার লিংক ব্যবহার করবে। এতে করে আপনি মিনিমাম একটি চ্যানেলে থেকে ১০০ থেকে ২০০ এর মত সাবস্ক্রাইবার পেতে পারেন। তাহলে আপনার এখন মোট সাবস্ক্রাইবার দাড়ালো ২৫০ জনে। এবার আপনি খুজবেন ৩০০ থেকে ৫০০ সাবস্ক্রাইবওয়ালা চ্যানেল। এখানেও একই কাজ করবেন। এভাবে আপনার সাবস্ক্রাইবার যত বাড়বে আপনি তার চেয়ে বেশি সাবস্ক্রাইবার ওয়ালা চ্যানেল খুজবেন। এভাবে বাড়তে বাড়তে বাড়তে একদিন নিশ্চয়ই আপনার সাবস্ক্রাইবার কয়েক হাজার ছাড়িয়ে যাবে।
আপনার চ্যানেলের বন্ধু বাড়ান

আপনার চ্যানেলের পেজে যত বন্ধুর আমন্ত্রণ আসবে সব গ্রহন করুন। তাদের সঙ্গে ম্যাসেজ আদান প্রদান করুন। তাদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করুন যাতে তারা আপনার চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করে। আপনিও তাদের যদি চ্যানেল থাকে সেখানে সাবস্ক্রাইব করুন। এতে করে আপনার এবং তার দুজনেরই উপকার হবে, দুজনেরই চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার বাড়বে।
অন্যের চ্যানেলের ভিডিওতে টিউমেন্ট করুন

আপনার চ্যানেলের ভিডিও এর ভিউয়ার বাড়ানোর জন্য অন্যে চ্যানেলগুলোর ভিডিওতে টিউমেন্ট করুন। অবশ্যই টিউমেন্ট করার সময় আপনার চ্যানেলের লিংকটি দিয়ে সেখানে সাবস্ক্রাইব করতে বলতে ভুলবেন না। কারন যত বেশি টিউমেন্ট করবেন তত আপনার চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার বাড়বে সঙ্গে বাড়বে আপনার চ্যানেলের ভিডিওর ভিউয়ার।
ভিডিও এমবেড কোড

আপনার যদি অনেক টুইটার ফলোয়ার থাকে, কিংবা অনেক ফেসবুক ফ্রেন্ড থাকে সেক্ষেত্রে আপনার চ্যানেলের জন্য অনেক ভালো। যদি আপনার ৫০ জন ফেসবুক ফ্রেন্ড থাকে তাহলেও আপনার জন্য শুভ সংবাদ। কারণ এরাই আপনার রিয়েল ফ্রেন্ড। ভুয়া ফ্রেন্ড দিয়ে কোন লাভ নাই। আপনি আপনার টুইটার আর ফেসবুকে আপনার ভিডিওটি শেয়ার করুন, তারপর আপনি এই ৫০ জন ফ্রেন্ডকেই বলেন সারাদিনে কয়েক সেকেন্ড বের করতে আপনার জন্য। তারা আপনার ভিডিওটি ৩০ সেকেন্ডের জন্য হলেও দেখবে, একটি করে লাইক দিবে, যদি সম্ভব হয় তাহলে একটি করে টিউমেন্ট করবে। প্রতিদিন আপনিও তাদের জন্য নতুন নতুন ভিডিও নিয়ে আসবেন। এভাবে আপনার ভিডিও রিলেটেড ফেনবুকে যে গ্রুপগুলো রয়েছে সেগুলোতে জয়েন করুন। সেখানে আপনার ভিডিওটি শেয়ার করুন। এভাবেই দিনে অন্তত ১০ জন করে ফ্রেন্ড আপনি আপনার একাউন্টে যোগ করুন। যকন আপনার ফেসবুক ফ্রেন্ড এর সংখ্যা ৫,০০০ হাজার ছাড়িয়ে যাবে, তখন আপনার চ্যানেলের একটি ভিডিও লিংক এর ভিউয়ার সংখ্যাও বাড়বে। যেখানে আগে প্রতিদিন আপনার ভিডিও এর ভিউ হতো ২০০, সেখানে আপনার ভিউয়ের সংখ্যা বেড়ে দাড়াবে ১০০০ এরও বেশি। একই কাজ আপনি আপনার টুইটার একাউন্টে করতে পারেন। পাশাপাশি অন্যান্য যে সকল সোস্যাল সাইটগুলো রয়েছে সেখানেও আপনি আপনার ভিডিওটি শেয়ার করতে পারেন। এয়াড়া আপনার যদি নিজস্ব কোন ওয়েবসাইট থেকে থাকে তাহলে সেখানেও ভিডিওটি এমবেড করে বসাতে পারেন। এখান থেকেও আপনি ভালো ভিউয়ার পাবেন।
এনোটেশন

এনোটেশন হচ্ছে আপনার ভিডিওটির ওপর আপনার অন্য একটি ভিডিও এর লিংক দেয়া। আপনার চলতি ভিডিওটি দেখতে দেখতে আপনার যে কোন ভিউয়ার যেন আপনার অন্য ভিডিওগুলো সর্ম্পকে জানতে পারে, সেজন্য আপনার প্রতিটি ভিডিওতে এনোটেশন ব্যবহার করতে ভুলবেন না। যখন কোন ভিউয়ার আপনার ভিডিওটি দেখবে তখন আপনি যে লিংকটি এনোটেশন করে দিয়েছেন সে যদি সেই লিংক এ ক্লিক করে তাহলে নতুন একটি উইন্ডো ওপেন হবে এবং সে তখন ওই ভিডিওটি দেখতে পাবে। আপনার ভিডিওটি আপলোড হওয়ার পর ভিডিও ম্যানেজারে গেলেই পাবেন এই অপশনগুলো। সেখান থেকে ভিডিও এর info and Setting বাটনে ক্লিক করলেই পৌছে যাবেন এনোটেশন করার পেজে। এরপর আপনি এখান থেকে এনোটেশন  যোগ করতে পারবেন।

ভিডিও দেবার সময়

আপনার চ্যানেলের জন্য সময় অতন্ত্য গুরত্বপূর্ণ। একটি ডাইরিতে নোট করে রাখুন, প্রতিদিন কোন সময়টি আপনি আপনার ভিডিওগুলো আপলোড করবেন। ভিডিও কখনো রাত ৩ টায় আপলোড করবেন না। যদি সম্ভব হয় ভিডিও সকালের দিকে আপলোড করুন। টার্গেট অডিয়েন্স সব সময় ১৮+ চিন্তা করবেন। আর একটি জিনিষ মাথায় রাখবেন আপনার ভিডিও এর বর্ণনাতে যদি সম্ভব হয় এর তৈরির তারিখটি বসাবেন। রবিবার ইউটিউবে ভিউয়ার বেশি হয়, আপনি চাইলে এই দিনটিকে মাথায় রেখে আপনার ভিডিও আপলোড করতে পারেন।
চেষ্টা করবেন সবার আগে ভিডিও দেওয়ার

আপনার চ্যানেলকে পপুলার করতে চাইলে সব সময় চেষ্টা করবেন সবার আগে আপনার তৈরি করা ভিডিটি দিতে। যদি আপনি তা করতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনার ভিডিওটি ইউটিউব তার সার্চ রেজাল্টে সবার আগে দেখাবে।
ভালো ছবি নির্বাচন করুন

আপনার আপলোড কৃত ভিডিওটি আপনার ভিউয়ারকে আকর্ষণ করার জন্য ভালো একটি ছবি নির্বাচন করুন। আপনার ভিডিওটির কাভার ফটোটি যদি আকর্ষণীয় না হয় তাহলে দর্শক আকৃষ্ট করতে পারবে না, আর দর্শক আকৃষ্ট না হলে আপনার চ্যানেলে ভিউয়ার বাড়বে না। তাই চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার আর ভিউয়ার বাড়াতে চাইলে ভালো ছবি নির্বাচণ করুন

জেনে নিন কিভাবে ইউটিউব ভিডিও র‍্যাঙ্ক করবেন ইউটিউব ভিডিও মার্কেটিং মেগা টিউটোরিয়াল

গুগলের সার্চ রেজাল্টে কোনও ওয়েবসাইট বা নির্দিষ্ট পেজকে প্রথমে আনতে চাইলে যেমন সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন করতে হয় ঠিক তেমনি ইউটিউবের সার্চ রেজাল্টে কোনও ভিডিও কে প্রথমে আনতে হলে ইউটিউব ভিডিও অপ্টিমাইজেশন করতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় নতুন কোনও ভিডিও পাবলিশ করার কিছুক্ষণ পরেই সেটা গুগলের সার্চ রেজাল্টে টপ শো করছে কিন্তু সেখান থেকে আবার খুব দ্রুত হারিয়েও যাচ্ছে, সেটা হয় শুধু মাত্র প্রপার অপ্টিমাইজেশনের অভাবে।
আমি ইউটিউব ভিডিও অপটিমাইজেশন নিয়ে খুব ভাল জানি না,নিজের কাজের জন্য স্টাডি করছি আর তাই সেখান থেকে কিছুটা সবার জন্য শেয়ার করছি। আশা করি আপনাদের উপকারে লাগবে। যেকোনো পরামর্শ সমাদরে গ্রহণ করা হবে।

ইউটিউব ভিডিও অপ্টিমাইজেশন টিপস 

নিম্নোক্ত ফ্যাক্টগুলো তখনই কাজে লাগবে যখন আপনার ভিডিওটি ভিওয়ারকে ভ্যালু দিতে পারবে। ভিডিওটি হতে হবে সুন্দর আর ইনফরমেটিভ।
ইউটিউব ভিডিও র‍্যাঙ্কে আনতে অনপেজ অপটিমাইজেশন আর অফপেজ অপটিমাইজেশনদুটোর গুরুত্ব রয়েছে। চলুন দেখা যাক ইউটিউব অপ্টিমাইজেশন কিভাবে করতে হয়।
এগুলোই ইউটিউব ভিডিও র‍্যাঙ্কিং এর জন্য অফপেজ অপটিমাইজেশনের কিছু কাজ।
কিছু কাজ যা ভুলেও করবেন নাঃ

* অন্য কারো ভিডিও ডাউনলোড করে সেটা আপলোড করবেন না। কিংবা কপিরাইটেড ভিডিও পাবলিশ করবেন না।
* ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করার পর সেইম অ্যাকাউন্ট লগিন করা সময় নিজ থেকে View বাড়ানোর চোরা বুদ্ধি পরিহার করা উচিত। এতে চ্যানেল ব্যান খাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা আছে!
*ইউটিউব ভিউ এর সাথে সাথে লাইক/ডিজলাইকের একটা নির্দিষ্ট অনুপাত মেইন্টেইন করে। ভুলেও নিজ থেকে এগুলো করার চেষ্টা করবেন না। এগুলো করলে ইউটিউব পুরো চ্যানেলকেই ব্যান করে দিতে পারে

মাল্টি-চ্যানেল নেটওয়ার্ক বা MCN কি? কিভাবে সহজেই MCN এ কাজ করতে পারবেন?

মাল্টি-চ্যানেল নেটওয়ার্ক বা MCN কি?

মাল্টি-চ্যানেল নেটওয়ার্কশব্দটির সংক্ষিপ্ত রুপ হচ্ছে এম.ছি.এন” (MCN). একে সার্চ ইঞ্জিনের ভাষায় “ইউটিউব পার্টনারশিপ নেটওয়ার্কবলা হয়ে থাকে।
মাল্টি-চ্যানেল নেটওয়ার্কবা ইউটিউব পার্টনারশিপ নেটওয়ার্কএমন একটি প্রতিষ্ঠান যা কিনা ইউটিউব এর মত ভিডিও প্লাটফর্মের সাথে কাজ করে।
মুলত মাল্টি-চ্যানেল নেটওয়ার্কবা ইউটিউব পার্টনারশিপ নেটওয়ার্ক গুলো সারা দুনিয়ার মাল্টিপল/একাধিক ইউটিউব চ্যানেলের সাথে অধিভুক্ত হয়ে কন্টেন্ট ক্রিয়েটর/ইউটিউব পাবলিশারদের নানাবিধ সহায়তা, পণ্যক্রস-প্রোমোশন, প্রোগ্রামিং, ফান্ডিং, পার্টনার ম্যানেজমেন্ট, ডিজিটাল রাইট ম্যানেজমেন্ট, মনিটাইজেশন/সেলস, অডিয়েঞ্চ ডেভেলপমেন্ট এর সহায়তা প্রস্তাব ও চ্যানেলের ভিডিও তে উচ্চ সি.পি.এম. বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করিয়ে রাজস্বের শতকরা বিনিময় করে থাকে।

কিভাবে সহজেই MCN এ কাজ করতে পারবেন?

১. চ্যানেলের ভিডিও এর থাম্বনেইল অন্যের ভিডিও থেকে কপিরাইট করা হলে।
২. একই প্রকার থাম্বনেইল একাধিক ভিডিও এর মধ্যে সংযুক্ত করলে।
৩. ভিডিও তে এডাল্ট বা কুরুচিপূর্ণ থাম্বনেইল থাকলে।
৪. অন্যের ভিডিও পারমিশন ছাড়াই নিজের বলে নিজের চ্যানেলে চালিয়ে দিলে।(এক কথায় অন্যের ভিডিও চুরি করে নিজের চ্যানেলে চালানো যাবেনা)।
৫. চ্যানেলে কোন ধরনের এক বা একাধিক (কপিরাইট স্ট্রাইক, কন্টেন্ট আইডি ক্লেইম, কমিউনিটি গাইডলাইন) থাকলে।
৬. চ্যানেলের হোম পেজটিতে উক্ত চ্যানেলের ভিডিও ও তার প্লে-লিস্ট ধারাবাহিকভাবে সাজানো না থাকলে।
৭. চ্যানেলে মোট কতজন সাবস্ক্রাইবকরেছে তার সংখ্যা হিডেন করে রাখলে।
৮. চ্যানেলের লোগো  চ্যানেলের আর্ট না থাকলে।
৯. চ্যানেলের ভিডিও গুলোর মধ্যে কিছু ইউনিক কন্টেন্ট এর পাশাপাশি কিছু কপিরাইট কন্টেন্ট মিশ্রিত থাকলে।
১০. চ্যানেলের ভিডিও গুলোতে ভিউয়ারদের কমেন্ট করার অপশন বন্ধ করে রাখলে।
১১. চ্যানেলে সর্বশেষ মাসে সর্বনিম্ন ১০ জন সাবস্ক্রাইবার  সর্বনিম্ন ১০০০ ভিউ সংখ্যা না থাকলে।
১২. চ্যানেলের হোম পেজের রাইট কর্নারে সোশ্যাল মিডিয়ার লিঙ্ক ও ওয়েবসাইটের লিঙ্ক সংযুক্ত না থাকলে।
১৩.চ্যানেলের ভিডিও এডাল্ট বা কুরুচিপূর্ণ হলে।
১৪. চ্যানেলে অবৈধ ক্লিক কার্যকলাপের একটিভিটি থাকলে।
১৫. চ্যানেলের কোন ভিডিও এর মধ্যে এডাল্ট বা কুরুচিপূর্ণট্যাগ যেমনঃ “HOT”,”SEX”, ইত্যাদি ব্যবহার করলে।
১৬. চ্যানেলের এবাউটঅংশে চ্যানেলটি কি ও কোন টপিক সম্পর্কিত তার বর্ণনা না থাকলে।

কিভাবে ইউটিউব চ্যানেলে অতি দ্রুত ১০,০০০ভিউ করবেন

আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো অতি দ্রুত কিভাবে করবেন দশ হাজার (১০,০০০) ভিউ। ইউটিউবের নতুন পলিসি দেখে অনেকেই অবাক হয়েছেন হয়ত, অবাক হওয়ার কিছু নাই। আপনি কি জানেন? এ পদ্ধতির জন্য যারা রিয়েল ইউটিউবার তারাই টিকে থাকবে, আর বাকিরা ঝরে যাবে। ধন্যবাদ জানাই ইউটিউবকে, কারন এখন আর যে কোন চ্যানেল হারানোর ভয় নেই। এবার আসুন জানি ইউটিউবের নতুন পলিসি সম্পর্কে
কি নিয়ে কাজ করবেন:

ইউটিউবে আপনি অনেক টপিক বা নিস নিয়ে কাজ করতে পারেন, তবে সব টপিক বা নিসে সমান ভিউয়ার হয় না। কিছু কিছু টপিক বা নিস আছে যেগুলোতে ভিউয়ার খুবই কম আবার অনেক টপিক বা নিস আছে যেগুলোতে প্রচুর ভিউয়ার হয়। আমি ২ টি টপিক বা নিসের নাম বলবো যেগুলো নিয়ে কাজ করলে ভিউয়ার হবেই হবে।

১. টেকনোলজি: মানব জন্মের শুরু থেকে আজ পর্যন্ত মানুষের টেকনোলজি সম্পর্কে জানার আগ্রহ কমতি নেই। তাই আপনি টেকনোলজি সম্পর্কে কোনো ভিডিও তৈরি করলে তা মানুষ অবশ্যই দেখবে। তবে নতুন বা আপকামিং কোন নিউজ নিয়ে করবেন।

২. সাম্প্রতিক নিউজ: সাম্প্রতিক নিউজ বা ঘটনা সম্পর্কে সবাই জানতে চায়। সাম্প্রতিক নিউজ নিয়ে কোনো ভিডিও তৈরি করলে তা মানুষ অবশ্যই দেখবে।
এবার কথা হচ্ছে ভিউয়ার আসবে কিভাবে
ভিউয়ার জন্য যারা এস.ই,ও পারেন তারা এস.ই,ও করবেন আর যারা এস.ই,ও পারেন না, তাদের তো সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করা ছাড়া আর অন্য কোন উপায় নাই। আপনি পারলে সকল সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করবেন।
তবে আমি শুধু ফেসবুকে কিভাবে শেয়ার করে ভিউয়ার বাড়াবেন তা জানালাম-
প্রথমে ফেসবুকে টেকনোলজি ও নিউজ রিলেটেড ভালো ১০ টা গ্রুপ পেজ এবং ১০ টা লাইক পেজ জয়েন করবেন যাদের মেম্বার থাকবে ১,০০,০০০ এর উপর। তাদের পোস্টে লাইক ও টিউমেন্ট দিবেন তা না হলে আপনি জয়েন করার পর পর আপনাকে কোন লিংক শেয়ার করতে দিবে না।
তারপর আপনি প্রতিদিন টেকনোলজি সম্পর্কে অথবা সাম্প্রতিক নিউজ নিয়ে ২ টা ভিডিও তৈরি করুন আর ফেসবুকে ১০ টা গ্রুপ পেজে এবং ১০ টা লাইক পেজে শেয়ার করুন।

এবার একটু হিসেব দেখি কি হয়-

আপনি ১০ টা গ্রুপ পেজে এবং ১০ টা লাইক পেজে মোট ২০ পেজে জয়েন করলেন, কিন্তু এখান থেকে ১০ পেজে পোস্ট করতে দিল না। আপনি পোস্ট দিলেন ১০ টা পেজে
১০ পেজ × ,০০,০০০ মেম্বার = ১০,০০,০০০ মোট মেম্বার। মোট ১০,০০,০০০ মেম্বারের ০.১% মেম্বারও যদি আপনার ভিডিও দেখে তাহলে আপনার প্রতিদিন ভিউয়ার হবে ১০০০ আর ২ টা ভিডিও হলে ২০০০, তাহলে ৫ দিনের মধ্যে ১০০০০ ভিউয়ার হয়ে যাবে। যদি তারও অর্ধেক হয় তাহলে ১০ দিন লাগবে।

ভিডিও মেকিং আইডিয়া ভিডিও থেকে আয় করার কৌশল

অনলাইন এর কল্যানে ইতিপূর্বে আমরা সবাই জেনেছি ইউটিউব থেকে আয় করা যায়। প্রতিদিন এই নিয়েই অনেক পোস্ট হযেছে তাই আমি সে বিষয়ে যাচ্ছি না।
ইতিমধ্যে আপনি আয় করার জন্য আপনার ইউটিউব চ্যানেলে পার্টনার হিসেবে জয়েন করেছেন এবং হয়ত এডসেন্সও এড করে দিয়েছেন। কিন্তু ফলাফল সেই একই। আপনার ভিডিও তে ভিউ নাই। আপনার আর্নিং থেমে আছে। কেনই বা হবে না?
আপনি কি ব্যাতিক্রমধর্মী কিছু চিন্তা করে ভিডিও তৈরি করেছেন? সবাই যেমন করছে আপনি সবার সাথেই তাই করে যাচ্ছেন। ফলাফল শুন্য তো হবেই। আসুন কিছু ক্রিয়েটিভ ভিডিও তৈরির কথা চিন্তা করি।

ক্রিয়েটিভ ভিডিও তৈরীর নানারকম কৌশল


বিয়ের আকর্ষনীয় মুহুর্ত ক্যাপচার করুন আপনি বিয়েতে বিয়ের আকর্ষনীয় মুহুর্ত ক্যাপচার করতে পারেন। বিয়ে মানেই অনেক স্মৃতি। অনেক সুন্দর সুন্দর দৃশ্য আপনার সামনেই এসে ধরা দিবে। আপনার হাতের মোবাইলেও ধারন করতে পারেন সেসব দৃশ্য। ভিডিও কন্টেন্ট থেকে আয় করতে আপনার ভিডিওটিতে ক্রিয়েটিভ কিছু এড করার চিন্তা করুন।
বর ও নববধুকে নিয়ে সুন্দরটি ভিডিও শুট করুন। বিয়ে অত্যান্ত আবেগ এবং পারিবারিক মিলনের এক সুন্দর পটভূমি। গান, নৃত্য, হাসি, কান্না কি নেই আজকালকার বিয়েতে। বিয়েতে অনেক শিশুও উপস্থিত হয়, তাদের হাসি ক্যাপচার করুন।
এমন ভিডিও তৈরি করতে আপনার কি খুব টাকা খরচ হবে? বাঙ্গালীদের বিয়েতে তো অনেক অনেক মজার মজার দৃশ্য থাকে। আপনি একাগ্র হলে আপনার হাতেই ধরা দিবে সব থেকে সুন্দর মুহুর্তগুলো। এরকম ভিডিও ভিউ অবশ্যই পাবেন।
পরামর্শ: শিশুতের হাতে কিছু টাকা দিয়ে যাই অভিনয় করাবেন তারা তাই করবে। আপনি শুধু তাদের মধ্য থেকে দৃশ্যগুলো বের করে আনুন।
বিপদজনক মুহুর্ত ক্যাপচার করুন দুংখজনক হলেও সত্য মানুষজন এমন ভিডিও দেখতে অনেক আগ্রহী। কোথাও আগুন লাগার খবর পেয়েছেন? রাজনৈতিক কোন গন্ডগুল হচ্ছে? ছিনতাইকারী ধরা হয়েছে? এসব দৃশ্যের চাহিদা অনেক। মুহুর্তেই এসব ভিডিও শেয়ার হয়ে ছড়িয়ে যায় সবর্ত্র।
পরামর্শ: কেউ বিপদে থাকলে আগে তাকে উদ্ধার করুন। সব সময় কমার্শিয়াল হওয়া ভালো নয়। মানবতাটুকু একেবারেই কমার্শিয়াল করে দেয়ার কোন মানেই হয় না।

কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে আড্ডার মুহুর্ত বন্ধুদের অড্ডায় আপনি গোপন একটি ক্যামেরা আপনার পকেটে রাখতে পারেন। একেবারে ন্যাচারাল দৃশ্য ধারন করতে পারবেন। বন্ধুদের বললে তারা হয়ত এমন দৃশ্য তৈরি করতে পারবে না। তাছাড়া আপনার বন্ধুদের মধ্যে যদি আপনার মতোই কাউকে পেয়ে যাবেন তবে আপনারাই তৈরি করুন বিভিন্ন সচেতনতামূলক শর্ট ফিল্ম। খুব কঠিন কিছু নয়। সাহস করে ট্রাই করেই দেখুন। তাছাড়া স্কুল কলেজে বিভিন্ন ইভেন্টে খেলা ও প্রতিযোগীতা হয়। সেগুলোও ধারণ করতে পারেন।
পরামর্শ: ভিডিওতে যাদের ক্যাপচার করেছেন পরবর্তীতে তাদের পরামর্শ নিয়ে তা পাবলিশ করুন। কারো অমত থাকলে ভিডিও টি ডিলিট করে দিন।
ভিডিও গান রেকর্ড করুন আপনার আশে পাশেই অনেক ছোট বড় শিল্পি আছেন যারা ভালো গান জানেন কিন্তু তারা কখনই মিডিয়ায় আসার সুযোগ পান নি। তাদের খুজে বের করুন। অনেক ভিখারীর কন্ঠও আপনি পেয়ে যাবেন যা আপনাকে মুগ্ধ করবে। দেরি কেন? চলুন তাদের নিয়ে কাজ করি।
পরামর্শ: তাদের ভিডিও দিয়ে আপনি আয় করবেন তাই তাদের হাতেও কিছু টাকা ধরিয়ে দিন।
বিজ্ঞাপন তৈরি করুন আপনার আশে পাশেই অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যাদের বিজ্ঞাপন করার সামর্থ নাই। দেশীয় পণ্যের একদিকে প্রচার হলো অন্যদিকে আপনারও আয় হলো। আপনার পাড়ার সামনের চা দোকানে বসেই এমন অনেক দৃশ্য পেয়ে যাবেন। হকারদের প্রডাক্ট বিক্রয় করার দৃশ্যও ক্যাপচার করতে পারেন। বিভিন্ন প্রডাক্টের গুনগত মান কেমন তা নিয়েও ভিডিও তৈরি করতে পারেন। আমরা দৈনন্দিন ব্যবহার করি এমন অনেক প্রডাক্টই আছে যা নিয়ে আমরা ভিডিও তৈরি করতে পারি। যেমন ফার্নিচারের দোকানে আকর্ষনীয় ডিজাইনে তৈরি করা ফার্নিচারের উপর ভিডিও তৈরি করুন।
পরামর্শ: দেশীয় প্রডাক্ট বেশী করে প্রচার করুন।
ভ্রমন কাহিনী  কোথাও বেড়াতে গেছেন? ভিডিও ক্যামেরাটি অন রাখুন। মানুষদের দৃশ্যগুলো দেখান যেন তারা ভ্রমণে আগ্রহী হয়। এসব জায়গায় ভ্রমণে কি কি প্রস্তুতি নিয়ে আসা উচিত তাই আপনার ভিডিওতে বলুন। সেসব জায়গায় কোন অনিরাপত্তা থাকলে সেগুলো সম্পর্কে সচেতন করুন। ভ্রমণের জন্য কোন সময়টা উত্তম সেটাও উল্লেখ করুন।
পরামর্শ: আমাদের দেশেই আমাদের আশে পাশে এমন অনেক সুন্দর সুন্দর লেক, ঝরনা, পাহাড় রয়েছে। সেগুলো নিয়ে ভিডিও তৈরি করুন।
হোম মেইড  আজকাল হোম মেইড ভিডিওর অনেক ভিউয়ার আছে। মজাদার খাবার তৈরির ভিডিও, সন্তানকে স্কুলে পাঠাতে যেসব পরিস্তিতির সম্মুখিন হোন সেসব ভিডিও কিংবা জন্মদিনের ঘরোয়া পার্টি আয়োজন নিয়েও ভিডিও তৈরি করতে পারেন

ইউটিউব ভিডিও তৈরীর আটটি ক্রিয়েটিভ আইডিয়া যারা ইউটিউবকে প্রফেশনাল ভাবে নিতে চান তাদের জন্য

যারা ইউটিউবকে প্রফেশনাল ভাবে নিতে চান তাদের জন্য ইউটিউব ভিডিও তৈরীর আটটি ক্রিয়েটিভ আইডিয়া

আমরা স্বভাবত ভিডিও তৈরির জন্য যে সব আইডিয়ার ভিডিও বানাই তা সাধারনত টিউটোরিয়াল, প্রাঙ্ক ভিডিও অথবা অন্যের ভিডিওর ভেতরে সিমাবদ্ধ থাকে। আবার নতুনদের তো প্রথমেই মনে হয় ভিডিও বানানো হয়তো বেশ শ্রম এবং ব্যায়সাধ্য ব্যাপার।…… (কিচ্ছু বল্লাম না আর। অন্যের ভিডিওরে হাজার দিক থেকে এডিট কইরা সেটা ইউটিউবে ছাড়ার জন্য পরিশ্রম আরো বেশি যায় )

একটু ভাবুন আপনি কোন জিনিসটা ভালো পারেন। নাচ,গান, ছবি আকা, মাইক্রোকন্টোলিং, রান্নাবান্না, সাজগোজ, সাইকেল স্টান্ট, অথবা ডেইলি মুভি, নিউজ, খেলাধুলার আপডেট। এসবের ভেতর কোন না কোন একটা জিনিসে আপনার অবশ্যই আগ্রহ আছে। আপনি সেটিকে বেছে নিয়ে সেটির উপরে ভিডিও বানাতে পারেন।
প্রশ্ন করতেই পারেন এতে করে লাভ কি?
ভাই ! ঘুরে ফিরে সেই এক কথাই আসলো। আপনি যদি আপনার আগ্রহের বিষয়টিকে আপনার চ্যানেলের নিশ করে নিন তাহলে নিঃসন্দেহে ভিডিও ক্রিয়েশনটা ভালো হবে। প্রতিদিন ভিডিও আপলোড করার দরকার নেই। সপ্তাহে একটা অথবা মাস দুইটা করে ভালো ভিডিও আপলোড করুন। এসইও করুন। মাস ছয়েক পরে সাবস্ক্রাইবারের অভাব হবে না।
ইউটিউব ভিডিও তৈরীর আটটি ক্রিয়েটিভ আইডিয়া যারা ইউটিউবকে প্রফেশনাল ভাবে নিতে চান তাদের জন্য
এবার আসুন কাজের কথাতে। আপনাদের কাছে আমার দৃষ্টিকোন হতে নতুন এবং অভিজ্ঞ ইউটিউবারদের জন্য আটটি আলাদা রকম ভিডিও ক্রিয়েশন আইডিয়া উপস্থাপন করবো। এবং মজার ব্যপার হচ্ছে ভিডিও রেকর্ড এনাবেল একটি স্মার্ট ফোন এবং ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার ছাড়া কোন খরচই লাগবে না এই আইডিয়া গুলো নিয়ে কাজ করতে।শুধু হাই সিপিসি দেখে আর কতো ভিডিও বানাবেন ?
তো চলুন শুরু করা যাক…..
·         অরিগামি টাইপের জিনিসের উপর ভিডিও – অরিগামি মানে কাগজকে টুকরা না করে শুধু মাত্র ভাজ করে সেটি দিয়ে পাখি, নৌকা, ফুল এই টাইপের জিনিস বানানো। এছাড়া ফেলনা জিনিসকে (প্লাস্টিকের বোতল, পুরাতন কলম, পন্য বহনকারি কার্টুন, ফেলে দেওয়া বাক্স) কাজে লাগিয়ে কি করে ব্যবহার যোগ্য জিনিস বানানো যায় তার উপরে অসংখ্য ক্রিয়েটিভ ভিডিও বানাতে পারেন।
·         ঘরোয়া কাজের উপর ভিডিও বানাতে পারেন – যেমন বই বাধাই করা, ঘোলা আয়না কি করে পরিষ্কার করা যায়, রান্নাবান্না, সেলাই, বাগান পরিচর্যা এসব টপিকের উপর ভিডিও বানাতে পারেন। এসব জিনিস অনেকেই খুজে ইউটিউবে। তার মানে বেশ ভালো অঙ্কের সাবস্ক্রাইবার পাবেন।
·         পেইন্টিং – পেন্টিং মানে ছবি আকা না। পেইন্টিং মানে বিশাল একটা বিষয়। আপনি যদি ভালো আঁকতে পারেন তাহলে আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেলে থ্রিডি পেইন্ট, ইলিউসন পেইন্ট, ফর্মাল পেইন্ট, এসবের উপর নিজের বানানো ভিডিও আপলোড করতে পারেন। এই ভিডিও গুলো যদি ক্রিয়েটিভ এবং সহজ কিছু স্টেপের মাধ্যমে উপস্থাপন করেন তাহলে এটিই হতে পারে আপনার মুল কাজের এবং আয়ের ক্ষেত্র।
·         মাইক্রোকন্টোলিং নিয়ে ভিডিও – জিনিসদের দৃষ্টি আকর্ষন করছি। রোবট, সার্কিট, ইলেক্ট্রনিক্স নিয়ে গ্রুপের এক জন একটা চ্যানেল করা উচিত। নিজের বানানো অথবা অন্যের আইডিয়া থেকে বানানো প্রজেক্ট গুলো নিয়ে সহজ ভাষায় উপস্থাপন করে ভিডিও বানানো যেতে পারে (কেও সাবস্ক্রাইব না করলেও আমি করবো)। তাছাড়া আপনি চ্যানেলে আরো কিছু ভিডিও রাখতে পারেন যেমন নষ্ট রিমোট, টর্চ, ক্যালকুলেটর, প্রয়োজনিয় ইলেক্টনিক্স জিনিসপত্র কি করে ঠিক করা যায় তার উপর। এক বন্যা শেয়ার পেতেও পারেন।
·         হয়ে যেতে পারেন শিক্ষক – আপনি হয়তো পিয়ানো, গীটার, তবলা বাজাতে পারেন। অথবা আপনি অনেক ভালো নাচতে পারেন। এখন আপনার মোবাইল ফোনটি ব্যাবহার করুন। ইউটিউবএ আমাদের বাংলাদেশি এখনো কোন চ্যানেল নাই যেখানে পিয়ানো, গীটার, নাচ অথবা গান শিখানো হয়। আপনি পারলে আপনিও শুরু করতে পারেন। বেশ সাড়া পাবেন।
·         খেলাধুলার উপর কিছু ভিডিও করতে পারেন – হয়তো আপনি অনেক ভালো সাইকেল চালাতে পারেন অথবা ভালো ক্রিকেট, ফুটবল খেলতে পারেন। আপনি আপনার চ্যানেলে বিভিন্ন রকম ক্রিকেটের ভালো শর্ট খেলার কৌশল, ভালো ফুটবল খেলার কৌশল, সাইকেলের হরেক রকম স্টান্ট, শেয়ার করতে পারেন। এই রকম বাংলা ভিডিওর অনেক অভাব আছে।
·         নিজেকে ভালো করে উপস্থাপন করতে পারেন – সুন্দর করে আপনি মোবাইলে ভিডিও রেকর্ড অন করে আপনি সাম্প্রতিক সময়ের কিছু ঘটনাকে মজার কিছু ভঙ্গিমাতে উপস্থাপন করতে পারেন। পারলে বন্ধুদের হেল্প নিতে পারেন। মনে রাখবেন মানুষ অধিকাংশ সময় বিনোদনের জন্যই ইউটিউবে যায়। আপনি যদি আপনার এই রকম বিনোদন মুলক চ্যানেলের মাধ্যমে যুক্তি-যুক্ত কিছু তুলে ধরতে পারেন তাহলে সাবস্ক্রাইবার তর তর করে বেড়ে যাবে।। তাছাড়া আপনি যদি নিজেকে আর ভালো করে উপস্থাপন করতে পারেন তাহলে আপনি পাঠ্যবইের কিছু বিশ্রী সমস্যার সহজ এবং সাবলীল সমাধান দিতে পারেন আপনার ভিডিওতে। যেমন পিথাগোরাসের সেই উপপাদ্য, নিউটনের দাঁতভাঙ্গা প্রস্তাবনার সমাধান, গাণিতিক বিখ্যাত সমস্যা গুলোর সমাধান। আর অবশ্যই ভিডিও আপলোড করার পরে এসইও করার কথা ভুলবেন না।
·         নতুন আপডেট হতে পারে একটি চ্যানেল আইডিয়া –  চ্যানেলের মাধ্যমে সাম্প্রতিক হয়ে যাওয়া ঘটনা, দুর্ঘটনা, খেলার গুরুত্বপূর্ণ হাইলাইট, এসব উপস্থাপন করে। আপনিও কাজে লাগিয়ে দেখতে পারেন। তবে ভিডিও কপি করা থেকে দূরে থাকবেন। নিজে উপস্থাপন করবেন। লাগলে কিছু ছবি এড করতে পারেন। সরাসরি কপি করবেন না।

কিভাবে ভাইরাল করবেন আপনার ইউটিউব ভিডিও ভিডিও র‍্যাংকিং এবং ট্রাফিক ফর্মুলা

ইউটিউব নিয়ে বর্তমান সময়ে অনেকেই ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন, অনেকেই এই ব্লগ সেই ব্লগ ঘুরে বেড়াচ্ছেন- কিভাবে আপনার চ্যানেল এর ভিডিও ভাইরাল করবেনআমি জানি অনেকেই আছেন যারা ইউটিউবের মাস্টার বলে পরিচিত; আমি তাদের কাছে কিছুই না- তারপরও চেস্টা করেছি এই লেখাটি লিখতে- লেখাটি কেমন হয়েছে জানাতে ভুলবেন না।
অনেক জায়গায় অনেক টিউটোরিয়াল দেখে একটি চ্যানেল খুলেছেন, ভিডিও আপ করেছেন, কিন্তু কাঙ্কখিত ভিজিটর পাচ্ছেন না, এর ফলে মনে মনে বকা দিচ্ছেন, যার টিউটোরিয়াল দেখে আপনি কাজ শুরু করেছিলেন তাকে। আসলে তার কোন দোষ নেই, তিনি আপনাকে ঠিকই শিখিয়েছেন; আপনি কোথাও না কোথাও ভুল করেছেন, অথবা তার দেখানো কাজগুলো ঠিকমত করেননি।
আসেন কথা না বাড়িয়ে কাজের কথায় আসি। মোট কথা আপনার ভিডিও ভাইরাল করতে হবে- তার জন্য আপনাকে কি কি করতে হবে? খুবই সাধারন কয়েকটি কাজ- যেগুলো আপনি অনেক টিউটোরিয়ালে দেখেছেন, সে কাজগুলোই আজকে আমরা করব- তবে একটু অন্যভাবে-

* এই ২ টা পয়েন্ট খেয়াল রাখবেন-

·         চ্যানেল এর ভিডিও আপ করার সঠিক সময় কোনটি?
·         ভিডিওতে ট্যাগ ব্যবহার করবেন কিভাবে?
এই দুটো বিষয় ভালোভাবে জানতে এই লিঙ্কে যেতে পারেন- টিউব্বাডি
আর একটি কথা আপনার চ্যানেল এর সাথে মিল রেখে একটি ব্লগও খুলে পারেন। কারণ এই ব্লগটি পরবর্তীতে কাজে লাগবে। চলুন এবার আমরা কাজে নেমে পরি

১. ভিডিও ভাইরাল করতে হলে অবশ্যই ভিডিওটি যতগুলো সম্ভব সোশ্যাল সাইটে শেয়ার করুন। এর সঙ্গে আপনার ব্লগেও একটা টিউন করবেন।
২. আপনার ব্লগে যে টিউনটি করেছেন সেটির নিচে দেখুন শেয়ার করার অনেক অপশন আছে, সবগুলোতে একাউন্ট খুলুন- এরপর ওগুলোতে শেয়ার করুন।
৩. ভিডিও বানালেই হবে না, ভিডিওটির যত্ন করুন। যতটা সম্ভব ভিডিও এডিটিং এর জন্য ভালো কোন ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার ব্যবহার করুন।
৪. ভিডিও কনটেন্ট বানাবেন ফানি, এঙ্গেজিং অথবা ইনফরমেটিভ বিষয়ের অপর, এতে আপনার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার সম্ভবনা বেশি থাকে।
৫. কখনোই বিতর্কিত বিষয় নিয়ে ভিডিও বানাবেন না।
৬. আপনার ভিডিওতে আপনার লোগো কিংবা আপনার ওয়েব সাইটের ইনফরমেশন যোগ করান।
৭. অবশ্যই ভালো ক্যামেরা এবং এডিটিং ইকুএপমেন্ট ব্যবহার করবেন, দরকার হলে টাকা খরচ করে এগুলো কিনুন না হলে কোন প্রফেশনাল এর সহযোগিতা নিন।
৮. যতটা সম্ভব ভিডিও এর রেজুলেশন হাই রাখুন- আপনার ভিডিও যেন আপনার ভিউয়াররা ক্লিয়ার দেখতে পারে।
৯. চেষ্টা করুন সিরিজ ভিডিও বানানোর, এতে আপনার ভিজিটর অপেক্ষায় থাকবে আপনার পরবর্তী ভিডিওটির জন্য।
১০. আপনার ভিজটর এর কাছ থেকে ফিডব্যাক জানতে চান, তাদের লাইক এবং টিউমেন্ট করতে বলুন। অনেক ভিজিটর আছে, তারা এগুলো না বললে করতে চায় না।
১১. ভিডিওতে এমন কোন মিউজিক ব্যবহার করবেন না যা আপনার নয়। আর অবশ্যই মনে রাখবেন টাইটেল আপনার কনটেন্ট এর জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
১২. কিওয়ার্ড এর সাথে মিল রেখে ট্যাগ দিবেন, এতে আপনার ভিডিওটি খুঁজে পেতে মানুষকে সহযোগিতা করবে।
১৩. আপনার ব্লগ, ফেসবুক, গুগোল প্লাস, টুইটার এরকম যতগুলো যায়গায় আছে সবগুলোতে আর্টিকেল আকারে আপনার ভিডিওর লিঙ্ক দিয়ে প্রকাশ করুন।
১৪. আপনি যে ব্লগে ভিডিওটি টিউন করছেন সেই ব্লগে ইমেইল সাবস্ক্রাইবার যুক্ত করুন- এতে আপনার ভিজিটরকে সাবস্ক্রাইব করতে বলুন- তাহলে নতুন ভিডিও আপ করার সাথে সাথে তার কাছে একটি নোটিফিকেশন চলে যাবে।
১৫. গুগোল প্লাসে আপনার ভিডিও রিলেটেড কমিউনিটিগুলোতে জয়েন করুন। আর এতে আপনার লিঙ্ক টিউন করতে থাকুন।
১৬. যে বিষয় নিয়ে ভিডিও বানাবেন, সেই ভিডিওটির একটি স্ক্রিপ্ট আগে থেকেই তৈরি করে রাখুন, এতে ভিডিও তৈরির সময়- ভিডিওটি বানাতে সহজ হবে।
১৭. বিজ্ঞাপন বসাব এই মানসিকতা নিয়ে ভিডিও বানাবেন না, মানুষকে ইনফরমেশন দিবেন এরকম ভাবে ভিডিও বানাবেন।
১৮. যদি সম্ভব হয়, আপনার ওয়েবক্যাম দিয়ে লাইভ ভিডিও চালাতে পারেন, এতে করে মানুষ আপনার অফিস অথবা বাসা দেখতে পাবে- সঙ্গে আপনাকেও দেখবে। এতে তাদের মধ্যে একটা বিশ্বস্ততা জন্মাবে; পরদিন তাদের মাথায় এটাই থাকবে যে দেখিতো আজকে ছেলেটি নতুন কি মজার ভিডিও আমাদের দেখাবে।

কিভাবে নতুন YouTube Channel থেকে সাফল্য লাভ করবেন

১. Screen Video Recording Software

ভিডিও রেকর্ডিং সফটওয়্যার হিসেবে আমি Suggest করব আপনাদের Camtasia ব্যবহার করার জন্য। আমি নিজেও Personally এটা ব্যাবহার করি। Screen Video Recording সহ বেসিক লেভেলের এডিট করা যায়।
htt//goo.gl/ttnfwD এখান থেকে এর Trial ডাউনলোড করতে নিতে পারেন।

২.Video Editing Software

শুরুর দিকে এডিটিংও Camtasia দিয়েই করতে পারেন। এছাড়া এর চেয়ে ভালো এডিটিং এর জন্য Windows Movie Maker রয়েছে। Advance Editing এর জন্য Adobe Premiere Pro এবং Adobe After Effects সবচেয়ে ভালো হবে।

৩.Photo Editing Software

বিশেষ করে Thumbnail তৈরি করার জন্য একটি Photo Editing Software দরকার। Photo Editing এর জন্য Adobe Photoshop এর জুরি নেই।

৪.ক্যামেরা

ক্যামেরা থাকতেই হবে এমন কোন কথা নেই। কিন্তু ভিডিও এর আরো মান বাড়ানোর জন্য ক্যামেরা ব্যাবহার করা সবচেয়ে ভালো। একজন ভিউয়ার একটি ভিডিওতে একজন মানুষের শুধু কথার তুলনায় তার চেহেরা সহকারে বর্ণনাকে বেশি বিশ্বাস করেন। তাই এর ফলে খুব দ্রুত আপনার Subscriber ও ফলোয়ার বাড়বে।

 

আকর্ষণীয় চ্যানেলের নাম

চ্যানেলেরটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চ্যানেলের নাম ভালো না হলে আপনার চ্যানেল সেরকম কোন ভালো পর্যায়ে যাওয়ার আগেই ভেঙ্গে পড়তে পারে। সবার থেকে আলাদা নাম রাখুন। যার নামে এর আগে কোন চ্যানেল তৈরি হইনি। না পেলে সময় নিন, ধীরে সুস্থে ভাবুন। এমন চ্যানেলের নাম রাখুন যা মানুষের জন্য কিছু অর্থ রাখবে এক কথাতেই আপনার পুরো চ্যানেলের বিষয় বৈশিষ্ট্য ফুটিয়ে তুলবে।
কখনই চ্যানেলের নাম কিওয়ার্ড এর সাথে পুরোপুরি মিলিয়ে রাখবেন না। এতে আপনার তেমন কোন বেশি একটা লাভ হবে না।
আমার একটা চ্যানেল আমার নির্দিষ্ট কিওয়ার্ড এর নাম দিয়ে বানানো হয়েছিল। ঐটার সাবসক্রাইবার এখন বর্তমানে 400+। এই একই কিওয়ার্ড এর সাথে সামঞ্জস্য রেখে আপনার আর একটি চ্যানেলের একটি Unique নাম রেখেছিলাম। বর্তমানে সেখানে এখন 7000+ Subscriber আছে। সুতরাং বুঝতেই পারছেন এটি আপনার চ্যানেলের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ।

অনন্য

চ্যানেলের কভার, Profile Picture, Description, Home Customization অবশ্যই উন্নত করে রাখবেন। যাতে চ্যানেলের নাম এবং এর প্রতিটি বস্তু একে অপরের সাথে সম্পূর্ণভাবে খাপ খায় এবং সুন্দর দেখায়।

প্রচুর ভিডিও

ভিউ নেই বলে থেমে যাবেন না। ভিডিও আপলোড করতে থাকুন এবং কিন্তু তা অবশ্যই ভালো মানের ভিডিও হতে হবে।

সময় নষ্ট করবেন না

ভিডিও তৈরির প্রতিটি সেকেন্ডই মূল্যবান সেকেন্ড সময়ই মূল্যবান। কখনই একটি সেকেন্ড এর জন্যও আপনার ভিউয়ারসদের বিরক্ত হতে দিবেন না। একটুখনের জন্য তারা বিরক্ত হয়ে গেলেই তারা বাউন্স করবে। বাউন্স রেট 70% এর নিচে থাকলেই তা নেগেটিভ হিসেবে ধরা হয়।

Social Media এর সঠিক ব্যাবহার

বর্তমানে আধুনিক জীবনে মানুষ Google, Youtube থেকে আরো বেশি Facebook, Twitter, Instagram ইত্যাদি সোশ্যাল মিডিয়া বেশি চালায়। তাই অবশ্যই প্রতিটি সোশ্যাল মিডিয়াতে আপনার ফ্যান পেজ তৈরি করুন। ঐখান থেকে আপনার চ্যানেলের ব্রান্ডিং করুন। কিন্তু অবশ্যই খেয়াল রাখবেন, এটি অ্যাডসেন্স তাই নিজের অফিশিয়াল পেজ ব্যতীত অন্য কোন জায়গায় পোস্ট দেয়া থেকে বিরত থাকুন।

ভিডিও প্রকাশ করার সঠিক সময়

একটি নির্দিষ্ট সময় চ্যানেলে ভিডিও ছাড়লে Audience এর সর্বচ্চ Engagements পাওয়া যায়। এর ফলে সাধারন ভিউ থেকে শতকরা 40%+ এর চেয়ে বেশি ভিউ পাওয়া সম্ভব।
চ্যানেলের ভিউয়ারস এর স্থান, ভাষা ও ইন্টারেস্ট এর উপর এই সময় নির্ভর করে। উদাহরণ হিসেবে আমার চ্যানেলের কথা বলি, আমার চ্যানেলের বেশিরভাগ ভিসিটর US, Canada এবং India থেকে আসে। তাই আমি আমার বেশিরভাগ ভিডিও প্রতি সাপ্তাহের রবিবার একটি ও মঙ্গলবারে আর একটি ভিডিও পাবলিশ করি এবং Extra সময় পেলে শুক্রবারে আর একটি ভিডিও ছাড়ি।
এভাবে আপনিও আপনার নির্দিষ্ট সময় নির্বাচন করে নিতে পারেন।

সঠিক ভিডিও SEO

চ্যানেলের পপুলারটির 60%+ নির্ভর করে ভিডিও এস.ই.ও এর উপর। ভিডিওতে ভালো ভিউ আনতে হলে অবশ্যই ভালো SEO করতে হবে। বাকিসব কন্টেন্ট এর কোয়ালিটির উপর নির্ভরশীল।

Thumbnails

ইউটিউব দেখার আগে ভিউয়ারস তার Thumbnail দেখে বিবেচনা করে সেই ভিডি দেখে। এই Thumbnail সে সর্বচ্চ ১-২ সেকেন্ড দেখে থাকে(আমি এই সময়ই দেখি :P)এই ১-২ সেকেন্ডে যার Thumbnail যত ভালো হয় তত ভিউ পড়ে। তাই Thumbnail যত ভালো হবে ভিউ তত বেশি পড়বে। Thumbnail বানাতে Adobe Photoshop এর সাহায্য নিতে পারেন।

Secret Tips

এখন প্রশ্ন হতে পারে যে, “রাঙ্কিং এ তো সবার শুরুতে First Viewers পেতে হয়। এই First Viewers পাব কোথা থেকে? শত SEO করেও তো পারছি না।এর জন্য আপনাদের জন্য বিশেষ Tipsএটি হচ্ছে “COMMENTS”অন্য একই টপিক রিলেটেড ভিডিওতে গিয়ে কমেন্ট করুন। কিন্তু আপনার ভিডিও এর লিঙ্ক দিয়ে স্প্যাম কমেন্ট নয়। মানসম্মত কমেন্ট লিখুন। যেমন Nice, Awesome, I like this video, Thank u for the tips. একটি মান সম্মত উদাহরণ এমন হতে পারে, Your video is really helpful. Hope my  videos can also help people like that.  কিন্ত এমনি যে লিখতে হবে এমন কোন কথা নেই। অনেকেই এমন করতে গিয়ে স্প্যাম কমেন্ট করে ফেলে। তার থেকে শুধু “Very helpful, thanks” লিখে দেয়াটাই ভালো।
এর ফলে যখন ঐ ভিডিও যখন কোন মানুষ দেখতে যাবে, তখন আপনার চ্যানেলের কমেন্ট দেখবে। অফিশিয়াল নাম এবং Profile Picture তাকে ঐ চ্যানেলে কি আছে তা দেখতে উৎসাহিত করবে। এতে আপনার নিজের বিনোদনও হবে আর কাজও হবে

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়

ভিডিও এর মানের উপর আর কোন ঔষুধ নেই। ভিডিও এর মান ভালো হলে একবার Top 20 ranking এ আসতে পারলে ইনশাল্লাহ উপরে উঠতে আপনাকে কেউ থামাতে পারবে না

ইউটিউব সম্পর্কে জেনে নিন মজার কিছু টিপস এবং ট্রিকস !

১০০ কোটিরও বেশি ব্যবহারকারী নিয়ে পৃথিবীর জনপ্রিয় ওয়েবসাইটগুলোর মধ্যে অন্যতম শীর্ষস্থানে রয়েছে ইউটিউবএতে একজন ব্যবহারকারী গান, চলচ্চিত্র, বিভিন্ন শিক্ষণীয় ভিডিও ইত্যাদি পেয়ে থাকেন। ব্যবহারকারীদের জন্য ক্রমান্বয়ে নানা ধরনের সুবিধা নিয়ে আসছে ইউটিউব।বিশাল এই ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম এককথায় ইউটিউব ব্যবহারের কিছু কৌশল জানা থাকলে সেগুলো যে কারও জন্যই তা অনেক সহায়ক হবে। ইউটিউব আপনার কাছে হয়ে উঠবে আরও উপভোগ্য।এরকম কয়েকটি ইউটিউব ব্যবহারের কলা-কৌশল দেয়া হলঃ
 
ইউটিউব ব্যবহারের জন্য আপনাকে সবসময় মাউস ব্যবহার না করলেও চলবে। তবে সেক্ষেত্রে কি-বোর্ডের ব্যবহার জানতে হবে। আপনি যদি স্ট্যান্ডার্ড মডেলে ইউটিউব ব্যবহার করেন তাহলে কি-বোর্ডের শর্টকাটগুলো হবে নিচের মতো-
কি-বোর্ডের কে (K) বাটনের সাহায্যে আপনি ভিডিও শুরু এবং থামিয়ে রাখতে পারবেন। জে (J) এবং এল (L) -এর সাহায্যে ভিডিও যথাক্রমে ১০ সেকেন্ড ব্যাকওয়ার্ড এবং ফরওয়ার্ড করা যায়। এম (M) চাপলে ভিডিও মিউট বা শব্দহীন হবে। যেকোনও জায়গা থেকে ভিডিওর একেবারে শুরুতে যেতে হলে আপনাকে জিরো (0) বাটন চাপতে হবে। এ ছাড়াও কি-বোর্ডের এক (1) থেকে নয় (9) সংখ্যাগুলোর মধ্য থেকে যেকোনও একটি সিলেক্ট করলে আপনি ভিডিওটির নির্দিষ্ট অংশে চলে যাবেন। যেমন সাত (7) চাপলে আপনি ভিডিওটির ৭০ শতাংশ জায়গায় চলে যাবেন।

যেসব ভিডিও দেখার অনুমতি সবার নেই কিংবা যেগুলো শর্তসাপেক্ষে আটকে রাখা হয়েছে সেসব ভিডিও  কৌশলে দেখতে পারবেনএজন্য শুধু ইউআরএল- টিকে একটু বদলে দিতে হবে। যেমন: ‘https://www.youtube.com/watch…’ এ ধরনের ইউআরএল-এ ‘/watch?v=’ অংশটা মুছে দিয়ে এর জায়গায় ‘/v/’ যোগ করতে হবে। তখন এটা দেখতে হবে এরকম- https://www.youtube.com/v/wyOz1Xb4u54&list=PL596583248B91B9…এরপর ব্যবহারকারী কোনও ধরনের লগ-ইন ছাড়াই ভিডিও দেখতে পাবে।

ইউটিউবে সর্বশেষ যে ফিচারটি সংযোজিত হয়েছে তা হলো ভিডিও লুপএর সাহায্যে ব্যবহারকারী স্বয়ংক্রিয়ভাবে একটি ভিডিও একাধিকবার দেখতে পারবেন। সেজন্য আপনাকে শুধু ভিডিওটি ওপেন করে এর ওপর কার্সর রেখে রাইট বাটন ক্লিক করতে হবে। তারপর সেখান থেকে লুপ অপশন সিলেক্ট করতে হবে।

আপনি যদি কখনও ভিডিওর গতি কমানো বা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন তাহলে প্রথমেই আপনাকে ভিডিওর সেটিংস অপশনে যেতে হবে। তারপর সেখান থেকে স্পিড অপশনে গিয়ে গতি বাড়ানো বা কমানো যাবে।

আপনার যদি ধীরগতির ইন্টারনেট সংযোগ থাকে এবং বাফারিং-এর যন্ত্রণা এড়িয়ে চলতে চান তাহলে আপনাকে একটি নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। তা হলো প্রথমেই আপনাকে ‘www.youtube.com/account_playback’ এই অপশনে যেতে হবে। তারপর সেখান থেকে I have a slow internet connection. Never play higher-quality video.’ এই অপশনটি সিলেক্ট করতে হবে।

যদি আপনি নির্দিষ্ট আর্টিস্টের গান বা ভিডিও চান তাহলে প্রথমে হ্যাশ (#) টাইপ করে তারপর ওই আর্টিস্টের নাম টাইপ করে এন্টার চাপুন। যেমন: ‪#Taylor Swiftএতে করে শুধু এই নির্দিষ্ট আর্টিস্টের গান বা ভিডিও-ই আসবে।

আপনি ইউটিউবে কি করছেন সেটা যদি অন্য কাউকে না জানাতে চান তাহলে আপনার ইউটিউব সম্পর্কিত সব তথ্য গোপন রাখতে পারবেন। এজন্য প্রথমেই আপনি ইউটিউবে লগইন করুন। তারপর অ্যাড্রেসবারে ‘www.youtube.com/account_privacy’ এটা টাইপ করুন এবং সেখান থেকে আপনার যেগুলো দরকার সেসব বিষয় সিলেক্ট করলেই আপনার এই কার্যক্রম আর কেউ দেখতে পাবে না।
খুব মজার কিংবা খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি ভিডিও পেয়েছেন। কিন্তু দেখার সময় নেই। কি করবেন তখন? চিন্তা নেই। কারণ এটা আপনি পরবর্তীতে দেখার জন্য সংরক্ষণ করতে পারবেন। সেজন্য ‘+ Add To’ অপশন সিলেক্ট করে Watch Laterঅপশনটি নির্বাচন করলেই হবে।

 ইউটিউব ভিডিও র‍্যাঙ্ক

গুগলের সার্চ রেজাল্টে কোনও ওয়েবসাইট বা নির্দিষ্ট পেজকে প্রথমে আনতে চাইলে যেমন সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন করতে হয় ঠিক তেমনি ইউটিউবের সার্চ রেজাল্টে কোনও ভিডিও কে প্রথমে আনতে হলে ইউটিউব ভিডিও অপ্টিমাইজেশন করতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় নতুন কোনও ভিডিও পাবলিশ করার কিছুক্ষণ পরেই সেটা গুগলের সার্চ রেজাল্টে টপ শো করছে কিন্তু সেখান থেকে আবার খুব দ্রুত হারিয়েও যাচ্ছে, সেটা হয় শুধু মাত্র প্রপার অপ্টিমাইজেশনের অভাবে।

ইউটিউব ভিডিও অপ্টিমাইজেশন (YouTube Video Optimization):

নিম্নোক্ত ফ্যাক্টগুলো তখনই কাজে লাগবে যখন আপনার ভিডিওটি ভিওয়ারকে ভ্যালু দিতে পারবে। ভিডিওটি হতে হবে সুন্দর আর ইনফরমেটিভ।
ইউটিউব ভিডিও র‍্যাঙ্কে আনতে “অনপেজ অপটিমাইজেশন আর অফপেজ অপটিমাইজেশনদুটোর গুরুত্ব রয়েছে। চলুন দেখা যাক ইউটিউব অপ্টিমাইজেশন কিভাবে করতে হয়।
অনপেজ অপটিমাইজেশন (On Page Optimization):
১. রিলেভেন্ট কিওয়ার্ডসঃ একটি ওয়েবসাইটের কিওয়ার্ডেরস মতই একটি ভিডিওর কিছু রিলেভেন্ট কিওয়ার্ডস থাকবে যেটা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ! রিলেভেন্ট কিওয়ার্ডসের ভিডিও গুলোই সবসময় ইউটিউব সার্চে সবার উপরে প্রদর্শিত হয়। ভিডিও ডেসক্রিপশনের প্রথম ৫০ শব্দের মধ্যে সবচাইতে রিলেভেন্ট কিওয়ার্ড উল্লেখ করা জরুরি।
২. ভিডিও টাইটেলঃ ভিডিওর টাইটেলে সবচেয়ে টার্গেটেড কিওয়ার্ড দিতে হবে। টাইটেলে ভুল করে কোনওভাবেই ভিসিটরকে বিভ্রান্ত করা যাবেনা! কিওয়ার্ড দিয়ে টাইটেল শুরু করতে হবে আর খুব বেশি আকর্ষণীয় করতে হবে যেন দেখা মাত্রই বুঝা যায় এটাই সঠিক ভিডিও। কোনও ধারাবাহিক ভিডিওর ক্ষেত্রে প্রতিটা ভিডিওর টাইটেলে সিরিয়াল নাম্বার উল্লেখ করতে হবে,এতে এর আগের আর পরের সিরিয়ালের ভিডিওটি ইউটিউবের সাজেস্টেড ভিডিওস এ শো করাবে।
৩. ভিডিও ট্যাগঃ রিলেভেন্ট কিওয়ার্ড দিয়ে ভিডিও ট্যাগ পূরণ করতে হবে যেন ইউটিউব বুঝতে পারে এটা কিসের ভিডিও। ইউটিউব আপনার এই ট্যাগগুলো দেখেই ভিওয়ারের কাছে আপনার ভিডিও দেখাবে।
৪. ভিডিও ডেসক্রিপশনঃ খুব সুন্দর করে ইউটিউব ভিডিও এর ডেসক্রিপশন লিখতে হবে। সাধারণত ৩০০+ শব্দের ডেসক্রিপশন ইউটিউব প্রাধান্য দেয়। ডেসক্রিপশন হতে হবে ইউনিক আর সাজানো যেখানে ভিডিওর ব্যাপারে ইনফরমেশন দেয়া থাকবে। ডেসক্রিপশনে ৪ বার কি ওয়ার্ড উল্লেখ করা ভাল।
৫. ভিডিও থাম্বনেলসঃ থাম্বনেল একটি ভিডিওর প্রথম ইম্প্রেশন তৈরি করে। ভিডিও আপলোডের আর প্রোসেসিং এরপর ইউটিউব স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিও থেকে ৩টি স্ন্যাপ নিয়ে থাম্বনেল সাজেস্ট করে তবে সবসময়ই কাস্টম থাম্বনলকে ইউটিউব র‍্যাঙ্ক করার জন্য গুরুত্ব দিয়ে থাকে।
৬. ভিডিও ট্রান্সক্রিপ্টঃ ভিডিও র‍্যাঙ্ক করাতে ট্রান্সক্রিপ্টের গুরুত্ব আছে। সবচেয়ে ভাল কি ওয়ার্ড গুলো দিয়ে ভিডিও ট্রান্সক্রিপ্ট তৈরি করতে হয়।
৭. চ্যানেল অথারিটিঃ ইউটিউব চ্যানেল অথারিটি ভিডিও র‍্যাঙ্কে ভূমিকা রাখে। চ্যানেল অথারিটি বলতে ভিডিও ভিউ এর সাথে সাথে এঙ্গেজমেন্ট বৃদ্ধি , সাবস্ক্রাইবার